বিমার ১০-১২ বছর মেয়াদ এতোদিন বাঁচবো কি নাঃ
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতার কথায়----
মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই ।
বিমার ১০-১২ বছর মেয়াদ এতোদিন বাঁচবো কি নাঃ |
এই সূর্যকরে এই পুস্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই ।
সত্যই এই পৃথিবী থেকে কেউ চলে যেতে চায় না কিন্তু যেতে হয় না ফিরার দেশে । এটিই একমাত্র সত্য যে মৃত্যু হবে । হাদিস শরিফে উল্লেখ্য আছে- “ প্রত্যক নর - নারীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে । "
আমরা কেউ জানিনা কোন দিন বা ঠিক কোন সময়ে মৃত্যু ঘন্টা বেজে যাবে । মৃত্যু আসবে জেনেও আমরা বসে থাকিনা প্রতিনিয়োত জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছি । জীবিকা অর্জনের জন্য পরিবার ও আপনজনের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদিন একস্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে চলছি । কিন্তু আমরা কেউ জানিনা এই ছুটে চলা কবে শেষ হবে । ঠিক এই কারণেই বিমার সৃষ্টি , যেহেতু আমরা জানিনা কবে কোথায় মারা যাব বা আমি মারা যাবার পরে আমার উপরে নির্ভরশীল মানুষদের কি হবে । এই অনিশ্চয়তা কে মোকাবেলা করবার জন্য বিমা প্রয়োজন । বিমার মেয়াদ ১০,১২ বা ১৫ যাই হক যদি আপনি মেয়াদ শেষ পর্যন্ত জীবিত থাকেন তবে মূনাফা সহ জমাকৃত সকল টাকা ফেরৎ পাবেন । আর যদি বিমা মেয়াদের মধ্যে আল্লাহ না করুন আপনার মৃত্যু হয় তবে আপনার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার গনদের মধ্যে আপনার মনোনীতক ব্যক্তি ( গন ) পাবে বিমা অংকের পুরো টাকা । এই টাকা পাওয়া যায় মৃত্যু দিন হতে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে এবং পরবর্তী কোন প্রিমিয়াম আর জমা দিতে হয় না । তাই পরিশেষে বলাযায় , আপনি যদি সত্যই মনে করে থাকেন বিমার মেয়াদ বেশি ততদিন বাচঁবেন না তবে আপনার পরিবারের কথাভেবে সন্তানের কথা ভেবে আজকেই একটি জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করবার স্বীদ্ধান্ত নিতে পারেন । যাতে করে আপনার অবর্তমানে তাদের আর্থিক কষ্ট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পরতে না হয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন